Header Ads Widget


ছোট কাগজ থেকে ফেসবুক

সাহিত্যচর্চার বিকল্প পাটাতন

ছোট কাগজ থেকে ফেসবুক

সুমন রহমান 

কোলাজ: অশোক কর্মকার

ছোট কাগজ থেকে ফেসবুক

শুধু দৈনিক পত্রিকার সাময়িকীর ওপর ভর করে কোনো ভাষার সাহিত্যচর্চা দাঁড়াতে পারে না। দৈনিকের কাজ প্রাত্যহিকতার জোগান দেওয়া, তাৎক্ষণিকতার দাবি মেটানো। তার সাহিত্যপাতা কিছু অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করলেও এটাই মূল কাজ। নতুন সাহিত্যের সন্ধান কিংবা নতুন রুচির বিনির্মাণ তার দায়িত্বের মধ্যে পড়ে না। কার্যত সে একটি প্রতিষ্ঠিত নান্দনিক অবস্থানকে আশ্রয় করে তার সপক্ষে নিজের কর্তামূলক অবস্থান স্পষ্ট করতে চায়। ফলে নতুন সাহিত্যের জন্য বিকল্প পাটাতন খোঁজা জরুরি হয়ে পড়ে। কিন্তু শুধু যে সংবাদপত্রনির্ভর সাহিত্যের প্রতিরোধী অবস্থান থেকে বিকল্প পাটাতনের সন্ধান চলে তাও নয়। কখনো কখনো বিকল্প পাটাতনকে ‘মূল’ বা মেইনস্ট্রিম পাটাতনে যাওয়ার রাস্তারূপেও ব্যবহারের নমুনা পাওয়া যায়। কখনো বিকল্প পাটাতন সাহিত্যের প্রাতিষ্ঠানিকতার বিরুদ্ধে গোষ্ঠীবিশেষের রাজনৈতিক অবস্থানেরও নিশানা। ফলে বিকল্প পাটাতন ঘিরে সাহিত্যিকদের যে নড়াচড়া, তার অভিপ্রায় ব্যক্তিভেদে গোষ্ঠীভেদে ভিন্ন ভিন্ন রকমের। গোড়াতেই বলে নেওয়া ভালো,
এখানে সাহিত্যের ‘মূল’ বা মেইনস্ট্রিম পাটাতন বলার মাধ্যমে সংবাদপত্রের সাহিত্য সাময়িকীকে কোনো কেন্দ্রীয় অবস্থান দেওয়া হচ্ছে না; বরং সাময়িকীনির্ভর সাহিত্য যে ভৌত ক্ষমতাকাঠামো তৈরি করে তাকে ইঙ্গিত করা হচ্ছে।
বাংলাদেশে বহুকাল সাহিত্যচর্চার বিকল্প পাটাতন বলতে আমরা ছোট কাগজকেই বুঝে এসেছি। মাত্র দুই দশক আগে, আশির দশকে নয়া কাব্যান্দোলনের মূলে কিন্তু ছিল ছোট কাগজই। পরবর্তী সময়ে মতাদর্শের সংঘাত, ব্যক্তিত্বের দ্বন্দ্ব, প্রকাশনার দীর্ঘসূত্রতা, ধারাবাহিকতার অভাব ইত্যাদি নানা কারণে প্রতিষ্ঠানবিরোধিতার পাটাতন হিসেবে ছোট কাগজ দুর্বল হয়ে পড়ে। পাড়ার শখের ম্যাগাজিন আর সিরিয়াস সাহিত্যচর্চার মুখপত্র হিসেবে ছোট কাগজের পার্থক্য করা কঠিন হয়ে যায় অনেক ক্ষেত্রেই। পৌরাণিক প্রতিজ্ঞা নিয়ে যে দুয়েকটা ছোট কাগজ প্রকাশনা অব্যাহত রাখে, তারাও আসলে তাদের ছায়া হয়েই বেঁচে ছিল বা আছে বলা চলে। তবু ধুঁকে ধুঁকে ছোট কাগজ অনেক বছর পাড়ি দিয়েছে, যেহেতু বিকল্প সাহিত্যের হাতে খেলার মতো আর কোনো তুরুপের তাস ছিল না।
নতুন শতাব্দীর শুরুতে বাংলাদেশে প্রথম অন্তর্জালকেন্দ্রিক সাহিত্য তৎপরতার আলামত টের পাওয়া গেল। সেটা শুরু হয় গ্রুপ ই-মেইলের মাধ্যমে। ইয়াহু গ্রুপ ‘কবিসভা’ এই ক্ষেত্রে পথপ্রদর্শক। এই ইয়াহু গ্রুপটির তৎপরতা ছিল সঞ্চালকনির্ভর (সঞ্চালক নেই এমন আরও কয়েকটি ইয়াহু গ্রুপ ছিল)। অর্থাৎ সঞ্চালক কর্তৃক অনুরুদ্ধ হয়ে কিংবা না হয়ে এই গ্রুপের সদস্যরা তাঁদের লেখালেখি সঞ্চালক বরাবর পেশ করতেন। সেই লেখালেখি সঞ্চালকের সম্পাদকীয় প্রতিভার ছাঁকনির তলা দিয়ে গ্রুপের অন্য সদস্যদের হাতে ই-মেইল এটাচমেন্ট আকারে পৌঁছাত। শিল্প-সাহিত্যের নানা বিষয়ে জরুরি তর্কগুলোর প্রাণবন্ত প্রদর্শনের জায়গা হিসেবে ইয়াহু গ্রুপ ‘কবিসভা’ স্মরণীয় হয়ে থাকবে। মনে রাখতে হবে, সেটা ছিল ওয়েব ১.০-এর যুগ। মিথস্ক্রিয়ামূলক ওয়েবের ধারণা বাজারে আসেনি, মাইক্রোসফট ওয়ার্ডে বিজয় সফটওয়্যার ছাড়া বাংলা লেখার অন্য কোনো উপায়ও উদ্ভাবিত হয়নি।
প্রযুক্তি হিসেবে ইয়াহু গ্রুপ দীর্ঘস্থায়ী হতে পারেনি। কয়েক বছরের মধ্যেই ওয়েব ২.০ প্রযুক্তি অন্তর্জালের দুনিয়ায় এক বৈপ্লবিক পরিবর্তন ঘটিয়ে দিল। ওয়েব হয়ে উঠল মিথস্ক্রিয়ামূলক, ফলে ব্লগিং, ওয়েবম্যাগ ও ওয়েবজিনের সূচনা হলো। এর কিছুদিনের মধ্যেই ওয়েবে বাংলা লেখার চল শুরু হলো অভ্র লিখনপদ্ধতি উদ্ভাবনের মাধ্যমে। এভাবে ধীরে ধীরে অপ্রাতিষ্ঠানিক ও বিকল্প সাহিত্যের তৎপরতা বাংলা ব্লগে স্থানান্তরিত হতে শুরু করল। বলাবাহুল্য, সাহিত্যিকেরা এই চত্বরের কলম্বাস ছিলেন না। বিদেশে অবস্থানরত বাঙালি তরুণদের একটা উল্লেখযোগ্য অংশ এই পত্তনের সঙ্গে জড়িত। নস্টালজিয়া, জাতীয়তাবাদ, যোগাযোগ ও শখের সাহিত্য—এই-ই ছিল শুরুর দিকের বাংলা ব্লগে লেখালেখির কেন্দ্রীয় বিষয়। সাহিত্যিকেরা যখন এই চত্বরে প্রবিষ্ট হলেন, তত দিনে ডায়াসপোরিক অহম আর অ্যামেচারিজম নিয়ে বাংলা কমিউনিটি ব্লগের একটা প্রায় অমোচনীয় চরিত্র দাঁড়িয়ে গিয়েছে। তবু তাঁরা ব্লগের অভিজ্ঞতা থেকে নতুন কিছু পেলেন। এক. একটা ব্যাপক পাঠকগোষ্ঠী জুটল তাঁদের, যেটা ছোট কাগজের পাঠক থেকে দৃশ্যমান ও ইয়াহু গ্রুপের পাঠক থেকে সক্রিয়। দুই. সেই পাঠকগোষ্ঠীর সঙ্গে লেখকদের দূরত্ব কমে গিয়ে দাঁড়াল মাত্র একটা ক্লিকে, যখন লেখক ক্লিক করামাত্র লেখাটি পাঠকের দরবারে হাজির হয়ে যায় এবং এর পঠনপাঠন প্রতিক্রিয়া আসতে শুরু করে।
এভাবে বাংলা ব্লগগুলো নতুন-পুরোনো লেখকদের মিলনতীর্থে পরিণত হলো। প্রতিষ্ঠিত লেখকদের অনেকেই এই পরিসরে এসে দোকান খুললেন, তাতে কারও কারও পসার বাড়ল, কারও বা পুরোনো ব্যবসা লাটে উঠল। পাশাপাশি অনেক নতুন অচেনা লেখকও সেলিব্রিটি হয়ে উঠলেন। অনেক ধরনের সংঘ হলো, পরিকল্পনা হলো। ব্লগারদের বই বেরোল, ই-বুক হলো, প্রচুর পরিমাণ সাহিত্যিক আলোচনাও হলো সেসব নিয়ে। সব মিলিয়ে বাংলা লেখালেখির পরিসরে একটি স্বতন্ত্র মাধ্যম হিসেবে হাজির হলো ব্লগ।
সাহিত্যচর্চার বিকল্প পাটাতন হিসেবে ছোট কাগজ হয়ে ব্লগ—প্রযুক্তির দিক থেকে অনেক লম্বা সফর। সাহিত্যিকের তৎপরতার জায়গা থেকেও। তবে একটি জায়গায় তাদের মধ্যে মিলের অভাব হলো না। সেটি হলো, এরা সবাই এক ও অভিন্ন মার্কেট প্লেস বা ইউনিভার্সাল হোমপেজের কাঠামোকে মেনেই বিকশিত হয়েছে। অর্থাৎ দৈনিকের সাহিত্য সাময়িকীর পাতা একটিই, যেটি সবাই পড়ছেন, ছোট কাগজেরও ইস্যু বা ইয়াহু গ্রুপেরও একটাই এটাচমেন্ট সবার কাছে পৌঁছাচ্ছে, ব্লগেও তেমনি একটাই হোমপেজ, যেখানে সবাই সবাইকে খেয়াল করতে পারেন। পরবর্তীকালে ফেসবুক জমানায় এসে যোগাযোগ পাটাতনের এই সরল নিয়মটি একেবারেই ভেঙে গেল।
ব্লগ থেকে সাহিত্যিক তৎপরতা কোনো ঝাঁকুনি ছাড়াই ফেসবুকে শিফট করল। গোড়াতে ফেসবুককে ব্লগেরই কাছাকাছি কোনো জিনিস ভেবে নেওয়ার সংগত কারণ ছিল। কিন্তু যোগাযোগপদ্ধতির ফারাকটুকু পরিষ্কার হয়ে উঠল অচিরেই। ব্লগ হলো এমন এক সরল সমাবেশ, যেখানে সব সদস্য একই পাটাতনে দাঁড়িয়ে। চাইলে সবাই সবাইকে দেখতে পাচ্ছেন। ফলে ব্লগের সদস্যদের পক্ষে এক বা একাধিক গোষ্ঠী হয়ে একই পাটাতনে তৎপর থাকা সম্ভব। একই আলোচনায় ন্যস্ত থাকা সম্ভব। পক্ষান্তরে ফেসবুক হলো সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইট, যেখানে যোগাযোগ ব্যক্তির সঙ্গে ব্যক্তির। এখানে স্নো-বল পদ্ধতিতে যোগাযোগ তৈরি হয়, যৌথতা তৈরি হয়। ব্লগ বা এর আগের পাটাতনগুলো যদি হয় সুপারশপ, ফেসবুক সেখানে অসংখ্য অলিগলির একটা জায়গা। এই অলিগলিগুলো আবার নানা সূত্রে ও শর্তে একে অপরের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট, একে অপরের ভেতর প্রবিষ্ট। কিন্তু সব মিলিয়ে কোনো সর্বজনীন কমিউনিটি সেন্টার নেই। এর একটা পার্সোনালাইজড অবভাস আছে মাত্র। ফলে ব্লগীয় কোন্দল বা ছোট কাগজের গোষ্ঠীপ্রীতির নমুনা ফেসবুকে দেখা গেলেও তা দীর্ঘস্থায়ী হয় না। এটি একান্তভাবেই ব্যক্তিসাপেক্ষ পাটাতন, যেখানে গোষ্ঠীর ধারণা খুবই ডিসপোজেবল। ব্যক্তি কেবল তাঁর গোষ্ঠীকেই দেখতে পান ফেসবুকে। ব্যক্তিতে ব্যক্তিতে এই গোষ্ঠীর ফর্মেশন খুবই পৃথক। এ রকম অনেক ধরনের গোষ্ঠী ছড়িয়ে আছে ফেসবুকে, যাদের মধ্যে হয়তো কখনোই দেখা হবে না, প্যারালাল ইউনিভার্সের মতো।
ফেসবুককে সাহিত্যচর্চার পাটাতন বেছে নেওয়ার মাধ্যমে ব্যক্তিসাহিত্যিক তাঁর কর্তাদশায় ফেরত এসেছেন। এই ব্যক্তি দীর্ঘকাল ছোট কাগজের গোষ্ঠীগত ও নান্দনিক এবং কিছুকাল ব্লগীয় মতাদর্শিক বাতাবরণে অবরুদ্ধ হয়ে ছিলেন। ব্লগের মধ্যে ব্যক্তির মুক্তির সম্ভাবনা ছিল। ব্যাপক পরিমাণ ক্ষমতাচর্চা ও মতাদর্শিক চাপে সেই পথ অনেকখানি রুদ্ধ হয়ে গিয়েছিল যদিও। তবু ব্লগ নিশ্চয়ই সাহিত্যচর্চার বিকল্প পাটাতন হিসেবে মনোযোগ ধরে রাখত, যদি না এরই মধ্যে ফেসবুক হাজির হয়ে যেত। নবতর প্রযুক্তি মানেই নতুন সম্ভাবনা। তবে ফেসবুকের মধ্যে ঠিক বিকল্প পাটাতন হওয়ার লক্ষণও নেই একাট্টাভাবে, অনেক ক্ষেত্রেই সে আরেকটি যোগাযোগমাধ্যম মাত্র। দৈনিকে বা ছোট কাগজে ছাপানো লেখাও এই পরিসরে শেয়ার করা হয়, ব্লগে আপলোড হওয়া লেখারও লিংক মেলে এখানে। ফলে ফেসবুক স্থানীয় পরিসরে কোনো মতাদর্শিক অথবা নান্দনিক স্পেস হয়ে দাঁড়ায়নি। ফেসবুকের বন্ধুতালিকাও কোনো মতাদর্শিক তালিকা হয় না শেষ পর্যন্ত। বন্ধু, শত্রু, সেলিব্রিটি ও ফলোয়ার মিলিয়ে ব্যক্তি তাঁর জনপরিসর গড়ে তোলেন। সাহিত্যিকেরও এই পদ্ধতিতে এগোতে হয়। নানা ধরনের ভাবনা, ব্যক্তি, রাজনীতি—যাকে ব্যক্তিলেখক এড়িয়ে এসেছেন আগে, বা যোগাযোগের সুযোগ হয়নি, এই পরিসরে তিনি তাদের মোকাবিলা করতে পারেন। আর সেটা অপর পক্ষের দৈনন্দিনতায় ন্যূনতম অভিঘাত দিয়ে বা না দিয়েই। ফলে ফেসবুক ফ্রেন্ড হলো কবীর সুমনের সেই বন্ধু, যাকে আপনি তেলের মতো মাখতে চান না। কোনো কমিটমেন্ট নেই, শর্ত নেই, শুধু সামান্য যৌথতা।
এমন একটি ডিসপোজেবল যৌথতা নিশ্চয়ই ব্যক্তিকে ভারমুক্ত রাখে। কিন্তু এই ভারমুক্তির প্রভাব সাহিত্যে কীভাবে পড়বে? ফেসবুকনির্ভর সাহিত্যের ভবিষ্যৎ কী? এই তৎপরতা থেকে বাংলা সাহিত্যের নতুন কোনো নান্দনিক দিশা কি মিলবে নিকট বা দূর ভবিষ্যতে? এই পরিসরে যোগাযোগের ধরনের প্রভাব যে সাহিত্যিক ফর্মগুলোর মধ্যে পড়ছে তা বলাই বাহুল্য। একটা নির্দিষ্ট আয়তনের বাইরের লেখা এই পরিসরে পাঠ করা দুরূহ, ফলে খাপের সাইজে তলোয়ার বানানো চলছে। ফেসবুকে উপন্যাস পড়া সম্ভব নয়, গল্পও কদাচিত সম্ভব। অর্থাৎ সাহিত্যের প্রধান অনেকগুলো ফর্মের জন্য এই পাটাতন তেমন কাজের কিছু নয়। কেবল কিছু স্ট্যাটাস আর কবিতা নামধেয় বস্তু দিয়ে সাহিত্যে সার্বিকভাবে ইতিবাচক অভিঘাত তৈরি করা কি সম্ভব?
এই প্রশ্নগুলোর উত্তর জানার জন্য অপেক্ষা করতে হবে। আপাতদৃষ্টে মনে হয়, ঠিক এই সাহিত্যিক চাহিদার ভার ফেসবুককে না দেওয়াই ভালো। প্রাত্যহিক যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে আমরা ফেসবুক নিয়ে যতখানি খুশি, সাহিত্যচর্চার মাধ্যম হিসেবে ততখানি খুশি হলে বিপদ আছে। মনে রাখতে হবে, ফেসবুকীয় যোগাযোগ সাহিত্যের চিরায়ত এক্সপ্রেশনগুলোর ওপর এক ধরনের চাপ প্রয়োগ করছে। পাশাপাশি এও ভুললে চলবে না যে ফেসবুক ব্যক্তি-সাহিত্যিককে চাপমুক্ত করেছে, ‘মূলধারা’ বা মেইনস্ট্রিম সাহিত্যের সঙ্গে প্রতিরোধী অবস্থান জিইয়ে রাখার সুযোগ করে দিয়েছে; সেই সঙ্গে লেখক-পাঠক মিথস্ক্রিয়াকে আকর্ষণীয় উপায়ে দৃশ্যমান করেছে। এর প্রতিদানে সাহিত্যিক তাঁর ফর্মগুলোর ওপর কতটুকু চাপ নেবেন তার হিসাবনিকাশ দরকার আছে। ফেসবুক নিশ্চয়ই পৃথিবীর সর্বশেষ যোগাযোগপ্রযুক্তি নয়। নবতর প্রযুক্তি সাহিত্যের জন্য কী বার্তা বহন করে আনবে, কোন ধরনের আবদার থাকবে তার, সেগুলো গ্রহণ করা কিংবা এড়ানোর কৃৎকৌশল কী হবে—এ বিষয়ে সাহিত্যিকের হোমওয়ার্ক ফেসবুক জমানাতেই সেরে ফেলা দরকার।
সূত্র: প্রথম আলো

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ