Header Ads Widget


টেকনাফের পোকা পঙ্গপাল নয়, ঘাসফড়িং : কৃষি বিভাগ


কক্সবাজার প্রতিনিধি : কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলায় পঙ্গপাল সদৃশ পোকা আসলে এক প্রকার ঘাসফড়িং। এ নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এরই মধ্যে কীটনাশক প্রয়োগ করে পোকাগুলো দমন করা হয়েছে।
আজ শনিবার কৃষি বিভাগ থেকে আসা উচ্চপর্যায়ের গবেষক প্রতিনিধিদল এসব তথ্য জানান।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় আজ শনিবার সকালে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ও বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের কীটতত্ত্ববিদদের সমন্বয়ে উচ্চপর্যায়ের একটি দল টেকনাফে পৌঁছে। খামারবাড়ী প্রকল্পের উপপরিচালক মো. রেজাউল ইসলামের নেতৃত্বে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা নির্মল কুমার দত্ত, বাংলাদেশ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক মো. নাছির উদ্দিনসহ গবেষক দল পরিদর্শন করেন।
পরিদর্শন শেষে গবেষক দল ঘাসফড়িং সদৃশ এই পোকা শনাক্তকরণসহ আক্রমণ প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ ও ধ্বংসে বিভিন্ন পরামর্শ দেন। কীটনাশক স্প্রে করায় গাছে থাকা পোকাগুলো মারা যাওয়ায় পরিদর্শন টিম আজ সেখানে কোনো জীবিত পোকার খোঁজ পায়নি।
এপ্রিল মাসের মাঝামাঝি সময়ে কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার লম্বরী গ্রামের কয়েকটি গাছে পঙ্গপালের মতো পোকার আক্রমণ দেখা দেয়। খবর পেয়ে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কক্সবাজারের উপপরিচালক ও স্থানীয় কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে কীটনাশক প্রয়োগ করে পোকাগুলো দমন করে। ঘাসফড়িং সদৃশ এসব পোকা আবারও দেখা দিলে এলাকায় পঙ্গপাল আতংক ছড়িয়ে পড়ে।
বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে জেলা ও উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা মাঠ পরিদর্শন করে পোকার নমুনা সংগ্রহ করে গবেষণাগারে পাঠায়। এ সময় কীটনাশক স্প্রে করার পর গাছে থাকা পোকাগুলো মরে যায়। এর পর পোকার দেখা মেলেনি।
লম্বরি গ্রামের বাগান মালিক সোহেল সিকদার জানান, কীটনাশক ছিটানোর পর এসব পোকা মরে যায়। আজ দুপুরে কৃষি বিভাগ থেকে একটি টিম এসে যাচাই করে।
জেলা কৃষি অফিসের উপ-পরিচালক মো. আবুল কাশেম বলেন, ‘পঙ্গপাল বলে প্রচার হওয়ায় দ্বিতীয়বারের মতো পরিদর্শন করেছি। এগুলো পঙ্গপাল নয়। কীটনাশক স্প্রে করার পর পোকা নেই। এ ধরনের পোকার ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে কীটনাশক স্প্রে করা হচ্ছে। একইসঙ্গে জাতিসংঘের ফুড অ্যান্ড অ্যাগ্রিকালচার অর্গানাইজেশনের তিনজন কর্মকর্তা পরিদর্শন করেছেন।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ