বাংলাদেশে বর্তমানে কত NGO আছে তার কোন সঠিক তথ্য হয় তো কারো জানা নেই। তবে বেশির ভাগ NGO একই লক্ষে কাজ করে সেটা হলো ক্ষুদ্র ঋণ কার্যক্রম বা MicroCredit ।NGO বা MicroCredit নিয়ে নিছু প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে... যা একজন এনজিও তে কাজ করার জন্য উপকারে আসবে বলে মনে হয়।
তাহলে শুরু করি কি বলেন আপনারা...
NGO বা MicroCredit এর কাজ কি?
বাংলাদেশে কত NGO আছে তার কোন সঠিক তথ্য হয় তো কারো জানা নেই। তবে বেশির ভাগ NGO একই লক্ষে কাজ করে সেটা হলো ক্ষুদ্র ঋণ কার্যক্রম বা MicroCredit । তাদের মূল কাজ হলো সুদের উপর ঋণ দেওয়া আর সারা বছর ধরে কর্মী নিয়োগের মাধ্যমে আদায় করা। তবে কর্মীদের কেই ঋণ দিতে হয় আবার আদায় ও করতে হয় ।বেশির ভাগ সদ্য পাশ করা ছাত্র/ছাত্রীরা চাকুরী না পাওয়ার কারণে এ সকল এনজিওতে চাকুরী গ্রহন করে এবং চাকুরী গ্রহনের পর সহজে চাকুরী ছেড়ে আসতে পারে না কারণ তার শুরুতে কিছু জামানত/সার্টিফিকেট/স্বাক্ষর করা ফাঁকা চেকের পাতা জমা নেয়, পরে সেগুলো সহজে তুলতে পারে না আর চকুরীও ছাড়তে পারে না।
এছাড়াও আরো অনেক কারণ আছে যা আমি আজ সকল চাকুরী প্রার্থীদের পরিস্কার করে দিবো যেন তারা চাকুরীতে জয়েন করার আগে ভেবে চিন্তে করতে পারে। এগুলো সম্পর্কে পয়েন্ট আকারে আপনাদের সুবিধার্থে বলছি আপনার অবশ্যই ধৈর্য্য ধরে মনোযোগের সাথে পড়ে নিবেন কারণ NGO বা MicroCredit চাকুরীতে আপনার ভবিষৎ কেমন হতে পারে আপনি জানতে পাবেন।
MicroCredit বা ক্ষুদ্র ঋণ কি?
MicroCredit হলো ক্ষুদ্রঋণ কর্মসূচি। মোট কথা ঋণ বিতরনের মাধ্যমে অল্প আকারে সাপ্তাহিক বা মাসিক ভাবে আদায় করা কে MicroCredit বা ক্ষুদ্রঋণ কর্মসূচি বলা হয়।
NGO বা MicroCredit এর চাকুরী কেমন:
আমার মতে আপনি না করলে বুঝবেন না। তবে যদি আমার বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে কিছুটা বুঝতে পারি তাহলেই হবে। আসলে সবাই যখন চাকুরী পাইনা তখন বাধ্য হয়ে এনজিওতে জয়েন করে, কারণ চাকুরীর বয়স শেষ হয়ে গেলে তাকে আর কে চাকুরী দিবে, এই ভেবে বেশির ভাগ মানুষ এনজিও চাকুরী শুরু করে। তাবে বর্তমানে চাকুরীর বাজার খুব খারাপ তাই এখন পড়াশোনা শেষ হবার পরই চাকুরীতে জয়েন করছে বেশির ভাগ ছাত্র/ছাত্রী।কারণ তাদের মাথায় একটাই চিন্তা কাজ করে এত পড়াশোনা করলাম আর এখন চাকুরী পাচ্ছি না তাহলে কি করবো! এই ভেবে সবাই যে চাকুরী পায় তাই করতে চায়/চাই, আবেদন করে ফেলে, অপর দিকে মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলেমেয়ে হলে তো কথাই নাই চাকুরী একটা করতেই হবে এটাই বাস্তব।
আমার অনেক দিনের বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে বলছি যে এনজিওতে চাকুরী করে এমন একজন কেউ পাবেনা না যে, তারা শান্তিতে আছে, তারা প্রতিদিন ভাবে যে কবে চাকুরী ছাড়বো। আমার পরিচিত এনজিওর এক স্যার ছিলো, সে সব সময় বলতো-
“জীবনে কি পাপ যে করেছি, এই চাকুরী করতে হচ্ছে বাড়ি-ঘর বউ-বাচ্ছা কে কোথায় ফেলে রেখে, খায়িয়ে না খায়িয়ে, এখানে পড়ে আছি, জীবনে মনে হয় বেশি পাপ করেছি তার জন্য এখন শাস্তি পাচ্ছি” আসলে এটা তার ভূল ধারণ ছিলো, তার সমস্যা হলো বুঝে না বুঝে বা বাধ্য হয়ে চাকুরীতে জয়েন করেছে। (নায় তো আপনারই বলেন কি করবে?) । পড়াশোনা করে তো আর দিনমুজুরদের কাজ বা জমিতে কাজ করা যাই না, আর কতজনইবা এই কাজ করতে পারে।আর করতে চায় বলেন।তবে আমি বলবো চাকরি করতে পারলে আপনি ভালো করতে পারবেন। আপনাকে সব সময় সৎ এবং সততার সাথে কাজ করে যেতে হবে।
আপনার কি কি অভিজ্ঞতা থাকা লাগবে NGO তে চাকুরী করতে গেলে?
১। আপনার আকাশ ছোয়া ধৈর্য্য থাকতে হবে, আপনাকে যাই বলোক না কেনো যে ভাবে হোক টাকা তুলে নিয়ে আসা লাগবে সময় মত প্রতিদিনের।
২। প্রতিদিন সকাল ৮টার মধ্যে সব কাজ সেরে (সাইকেল নিয়ে) ৮-১০ কিলোর মধ্যে প্রত্যন্ত গ্রামে বিভিন্ন কেন্দ্র সমিতিতে যেতে হবে। প্রথমে আপনাকে ৮-১০ কিলোর কথা বলা হবে কিন্তু এটা মিথ্যা কথা । বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে বলছি আমার অনেক দূরে যেতে হয় প্রয়োজনে।
৩। প্রতিদিন বিভিন্ন কেন্দ্রতে ১৫-২৫(বেশীও হতে পারে ) জন মহিলা/মেয়ের সাথে টাকা লেনদেন করতে হবে, এভাবে প্রতিদিন ২-৩ টা কেন্দ্রতে টাকা তুলতে হবে। সপ্তাহে ১৫-২১ টা কেন্দ্র পরিচালনা করতে হবে।
৪। আপনাকে সমিতির বিভিন্ন কেন্দ্রে ঋণ দেওয়ার জন্য প্রতিদিন লোক বাছাই করতে হবে এবং নিয়মিত ঋণ দিতে হবে। এটা আপনার প্রধান কাজ। অতএব, আপনি যদি ঋণী নির্বাচন করতে ভূল করেছেন তো মরেছেন। ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে NGOর কিছু নিয়ম-কানুন আছে কিন্তু ওগুলো কাজে আসে না তেমন।
৫। আপনাকে ঋণ দেওয়া আর আদায় কারার টার্গেট দেওয়া হবে, তা পুরণ করতে না পারলে আপনাকে উপর থেকে অনেক চাপ দিবে এটা সাধারণ চাপ না, কঠিন চাপ।টার্গেট পূরণ করতেই হবে। তবে সঠিক উপায়ের মাধ্যমে থেকে সব কিছু করতে হবে।
৬। আপনাকে অনেক কটুকথা শোনার মন-মানসিকতা থাকতে হবে তাহলে পারবেন। কারণ যে কোন সময় আপনার স্যার আপনাকে কটুকথা বলতে পারেন।কথায় আছে ”বস ইস অলয়েস রাইট”
NGO তে আপনি চাকুরী করতে পারবেন কি-না?
আপনি করতে পারবেন কি না সেটা আপনার অভিজ্ঞতার উপর নির্ভর করবে অভিজ্ঞতা গুলো ভালোভাবে পড়ে নিন তাহলে আপনি বুঝতে পারবেন যে আপনার দ্বারা এনজিওর চাকুরী করা সম্ভব কি না। আপনি আসলে এনজিওর চাকুরী করতে পারবেন কি-না।আপনি চাইলেই করতে পারেন।প্রতিদিন কি কি সমস্যার সম্মুখিন হতে হবে আপনাকে?
১। প্রতিদিন সমিতিতে অনেক সদস্য টাকা দিতে আসবে না- তখন আপনাকে তাদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে টাকা চেয়ে নিয়ে আসতে হবে।অনেক জন বলবে বিকেলে দিবো, আপনি এখন যান, আমি বিকাশ,রকেট, ইউ-ক্যাশ,নগদ করে দিবো, কোন এক্যাউন্ডেদে একটা নম্বর দিয়ে যান। আর আপনার নম্বর আছে স্যার।আমার কাছে এখন টাকা নেই, সামনে সপ্তাহে দিবো, সামনে সপ্তাহে বলবে মাসের শেষে দিবো, মাসের শেষে বলবে আমার কাছে টাকা নাই আমি দিতে পরছিনা নানা বাহানা দেখাবে। তখুন আর কি করবেন তাদের সাথে তো আর মারা-মারি করতে পারবেন না।কোন গ্রাহক না দিলে আপনার বেতন থেকে দেওয়া লাগবে,তখুন আপনাকে বাধ্য হয়ে তাদের সাথে ঝগড়া করে আদায় করতে হবে।নাহলে আপনার বেতন থেকে মাসের শেষে সব টাকা পুসিয়ে দিতে হবে। তবে কিছু ক্ষেত্রে আপনি ছাড় পাবেন সেটা মোটেও বেশি না।
২। একই বাড়িতে বার বার ঘোরা লাগবে,কারণ যখন সে টাকা দিবে না তখন সে বাড়িতেও থাকবে না।
৩। আপনাকে টাকা আদয়ের ক্ষেত্রে অনেক কৈশলী হওয়া লাগবে,নয় তো আপনি টাকা আদায় করতে পারবেন না।
৪। আপনার কাছে ঋণ নেওয়ার সময় সবাই সাধুর মত আচরণ করবে, না যেন তারা কতই ভালো মানুষ, তখন আপনি মনে করবেন যে এরা কত ভালো মানুষ,এদের লোন দিলে ঠিক মত পরিশোধ করবে, কিন্তু ভাই সবাই করবে না।পরিশোধের সময় আপনাকে অনেক ঘোরাবে।
ঋণ আদায় করার সময় বুঝতে পরবেন তারা কেমন মানুষ।
অতএব, আপনি ঋণ দেওয়ার সময় মানুষ চিনতে না পারলেও কিস্তি আদায়ের সময় নিশ্চয় চিনতে পাবেন। তখন আর কিছূ করার থাকবে না।
৫। অনেক সময় মারা-মারী হওয়া সম্ভাবনা হয়ে যায়, তাই আপনাকে সবসময় মার খাওয়ার জন্য প্রস্তুত হয়ে থাকতে হবে। কারণ তখন আপনার হাতের কাছে আপনার সহযোগী থাকবে না।
NGO বা MicroCredit এর চাকুরীর ধরণ কেমন?
আপনার কোন ছুটি থাকবে না চাকুরীতে যাওয়ার সময় বলবে সরকারী সকল ছুটিসমূহ আপনি পাবেন। কিন্তু বাস্তবে এটা আপনার কোন কাজে আসবে না, সে সব ছুটির দিনেও আপনাকে সমিতির জন্য কাজ করতে হবে, হোন আপনি ম্যানাজার/এরিয়া ম্যানেজার/জোনাল ম্যানেজার, আপনাকে মাসিক হিসাব পুশিয়ে দিতে হবে। এর জন্য আপনাকে সারা মাস কাজ করতে হবে।তবে মাসের প্রথম, ১ম সপ্তাহের ছুটি শুক্রবার বা সরকারি ছুটির দিনে ছুটি কাটাতে পারবেন। বা বাড়ি কাছে হলে বাড়ি যেতে পারবেন। অনেক জনকে তো দেখেছি মাসের পর মাস বাড়ি যাই না। তারা বলে একদিনের জন্য বাড়ি যেয়ে কি হবে?
মানে সব সময় আপনাকে সমিতির জন্য চিন্তা করতে হবে। আমি বাড়ি গেলে আমার সমিতি কে চালাবে যদিও কেও চালাই তাও একদিন ২দিন চালাবে (আপনার অনুপস্থিতিতে সাধারণত ম্যানাজার/ক্যাশিয়ার আপনার সমিতি চালাবে) মোট কথা চাকুরীর ধরণ ফুল টাইম আর অন্য কোন কাজ করার সময় পারেন না।
আমি কি নিয়মিত বেতন পাবো?
আপনি নিয়মিত মাসের শেষ দিন-ই বেতন পাবেন। আপনার একাউন্টে বেতনের টাকা চলে আসবে।আপনার যদি কোন ঋণ আদায় করতে বাকি থাকে তাহলে যেন আপনি মাসিক ঘাটতি পূরণ করতে পারেন। আমার মনে হয় এই জন্য মাসের শেষ দিন বেশির ভাগ এনজিওতে বেতন দিয়ে থাকে ।মাসের শেষে বেতন থেকে কত টাকা বাঁচবে?
আপনি যদি ঠিক মত সকল সমিতির টাকা আদায় করতে পারেন, তাহলে আপনার মাসের শেষে বেতনের সব টাকা আপনার থাকবে।কিন্তু কারো পক্ষে সব সমিতির সব টাকা তোলা সম্ভাব নয়। কোন না কোন সমিতির কোন না কোন সদস্যর টাকা আপনার পকেট থেকে দিতেই হবে।তবে সদস্য যদি ভালো হয় তাহলে আপনার টাকা আপনি পরে পেয়ে যাবেন।এটা বিশ্বাস রাখতে পারেন।
প্রতিমাসে কত টাকা ঘাটতিপূরণ করতে হবে আপনাকে:
আপনাকে প্রতিমাসে কত টাকার ঘাটতিপূরণ করতে হবে সেটা আমার ধারণার বাইরে তবে যারা এনজিওতে চাকুরী করে তারা অবশ্যই টাকার ঘাটতি পূরণ করে। আবার কিছূ সময় তারা তা আদায়ও করতে পারে।তবে একটু সময় লাগে।আপনাকে কতটা প্ররিশ্রম করতে হবে?
আমি আমার বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে বলছি যে এনজিওতে আপনাকে বেশি প্ররিশ্রম করতে হবে না, কিন্তু মানসিক চাপ থাকবে প্রচুর, যদি সাইকেল চালিয়ে কাজ করেন তাহলে আপনাকে দিনে রাতে দুইবার সাইকেল চালিয়ে কেন্দ্র/সমিতিতে বা সদস্যের বাড়ি যেতে হবে আর মোটরসাইকেল থাকলে তো শারিরিক প্ররিশ্রম হবে না।তবে ২৪ ঘন্টা মাথায় অনেক চাপ থাকবে টাকা আদায়ের জন্য, আর যদি মাসের শেষে টাকা আদায় করতে না পারেন তাহলে তো টেনশনে চোখের ঘুম নাই হয়ে যাবে মনে রাখবেন টাকার চিন্তা বড় চিন্তা।NGO বা MicroCredit এ আমার কাজ কি হবে?
আপনার প্রধান কাজ হবে সদস্য নিবার্চন করে তাদের মাঝে লক্ষ লক্ষ টাকা বিতরণ করে তা আপনাকেই বছর ধরে আদায় করতে হবে। এটাই আপনার মূল কাজ।টাকা এনজিও বিভিন্ন ফান্ড থেকে এনে সুদের বিতরণ করতে দিবে। তার মাধ্যমে যে লাভ হবে তা প্রতিষ্ঠানে খরচ কর্মচারীর বেতন ইত্যাদি ব্যায় করবে। বাকি টাকা প্রতিষ্ঠান আবার খাটাবে আর লাভ করবে। কিছু না বুঝতে পারলে আমাকে কমেন্ট করুন।
NGO তে বিভিন্ন পদের কর্মচারীদের কাজের ধরণ?
বিভিন্ন পদের কর্মচারীর একই কাজ যেমন- জেনারেল ম্যানাজার এর কাজ- সকল এরিয়া ম্যানাজার কে নিয়ন্ত্রন করে তাদের কে চাপ দিয়ে কাজ আদায় করে নেওয়া আবার এরিয়া ম্যানাজার সকল শাখার ম্যানাজার কে চাপ দিয়ে কাজ আদায় করে নেওয়া।আর শাখা ম্যানাজার তার শাখার বিভিন্ন কর্মচারীকে চাপ দিয়ে কাজ আদায় করে নেয়। কিন্তু এর মধ্যে সবার একটা কাজ টাকা ঋণ দিয়ে সুদ সহকারে আদয় করা। এবং সংস্থার টাকা বৃদ্ধি করা।সমিতিতে টাকা আদায় করতে গেলে কি কি সমস্যা হবে?
- আপনি সমিতি তে দেখবেন নিয়মিত সদস্য আসবে না।
- তাদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে টাকা আনতে হবে আপনাকে।
- অনেকে বলবে পরের সপ্তাহে টাকা দিবো।
- বলবে আজ যান কাল বিকেলে দিবো।
- নিয়মিত করো না কারো সাথে ঝগড়া করতে হবে।
- ঝড়গা করতে গিয়ে মার খাওয়া জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।
- টাকা আদয়ের জন্য অনেক মিথ্যা কথা বলতে হবে।
- টাকার ঘাটতি পূরণ করতে অনেক সময়ে একজনের টাকা অন্যজনে কিস্তি দিতে হবে।
আপনার উপর অনাকাঙ্কিত বিপদ সমূহ কি কি হতে পারে?
- টাকা আদায় করতে গেলে টাকা দিবেনা তখন আপনার রাগ হবে ঝগড়া হবে। এর ফলে অনেক সময় মেয়ে মানুষও ঘায়ে হাত তোলার সম্ভাবনা থাকবে।
- রাস্তায় আসার সময় অনেক সময় টাকা ছিনতাই/চুরি হয়ে যেতে পারে কারণ সবাই জনবে যে আপনার কাছে সমিতির টাকা থাকে সে জন্য সর্তক থাকতে হবে।
- সমস্যা লেগেই থাকবে এজন্য সকল সমস্যা মোকাবেলা করার মন মাসিকতা থাকতে হবে।
- টাকার হিসাব কম-বেশি হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে তাই টাকা নেওয়ার সময় বুঝে শুনে নিতে হবে।
- নিজের প্রতি সম্পূর্ণ আত্মবিশ্বাস রাখতে হবে।তা না হলে বিপদে পরতে পারেন।
NGO বা MicroCredit এ কেমন সমিতি হলে আপনার চাকুরী করা সহজ হবে?
১। সমিতির সকল সদস্য নিয়মিত সমিতিতে উপস্থিত হয়ে টাকা জমা দিলে।২। সবাই নিয়মিত টাকা দিলে।
৩। সমিতিতে সকল সদস্য যদি ভালো হয় তাহলে আপনার মত শান্তিতে কেউ আর থাকবে না।
৪। মোট কথা আপনার সকল ঋণী সদস্য যদি ঠিক মত কিস্তি প্ররিশোধ করে তাহলে আপনার NGO বা MicroCredit চাকুরী করা সহজ ও সুখের চাকুরী হবে।
পরিশেষে আপনাদের বলি উপরের যে কথা গুলো আপনাদের জন্য বললাম তা আমি বস্তবে দেখে শুনে বুঝে আমার বাস্তব অভিজ্ঞার আলোকে আপনাদের ক্যারিয়ার গড়ার লক্ষ্যে বলেছি কারো যদি বিশ্বাস না হয় বা অবাস্তব মনে হয় আমার কোন আপত্তি নাই আপনার ক্যারিয়ার আপনি গড়তে পারেন আমি শুধু আপনাদের পথ দেখানোর আলোকে আমার বাস্তব অভিজ্ঞতা লিখেছি।
বাকি টা আপনাদের ইচ্ছা তবে কারো উপকারে আসলে খুশি হবো। এছাড়াও কারো কিছু জানার থাকলে নাম ও ই-মেইল দিয়ে আমাদেরকে কমেন্ট করুন।
ডিজিটাল রূপকল্প মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিঃ
সূত্র: ইন্টানেট থেকে নেওয়া।


0 মন্তব্যসমূহ